গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের যে মূল লক্ষ্য ছিল—একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, মানুষের সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের মর্যাদা তৈরি হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে—বাংলাদেশ এখন ঠিক তার বিপরীত দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে এই রাষ্ট্রকে এমন একটি সরকার পরিচালনা করছে, যারা নিজেদের গোষ্ঠী, ব্যক্তিস্বার্থে দেশ চালাতে গিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এমনকি ভোটাধিকারও কেড়ে নিচ্ছে।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এ দেশের মানুষ ন্যূনতম জীবন ধারণ করতে গিয়ে একটা ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে আছে। তাঁদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ অবস্থার মধ্যে কতিপয় লোক রাষ্ট্রক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ধনসম্পদ বৃদ্ধি করছে। আর তাদের পাহারা দেওয়ার জন্য জবরদস্তি কায়দায় মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করে সরকার ক্ষমতায় আছে। তারা পুরো রাষ্ট্রটাকে স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল যে চেতনা, মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, তার বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
দেশের মানুষ নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মানুষকে নতুন করে এই ঐক্যের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি। স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে আমরা জনগণের প্রতি আবারও এই আহ্বান জানাই, আমাদের নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন জনগণের ছিল, আজকের তরুণদের মধ্যে সেই স্বপ্নকে নতুনভাবে জাগ্রত করতে চাইছি। লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের সেটাকে অর্জন করতে হবে।’
দেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে। যে দেশের সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়, সেই সরকার, সেই রাষ্ট্র অপর দেশের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে রক্ষা করবে? জনগণই সার্বভৌমত্বের মূল ভিত্তি। জনগণের অধিকার যদি কেড়ে নেওয়া হয়, জনগণকে যদি বিভক্ত করে ফেলা হয়, তাহলে সেই দেশ সার্বভৌমত্বের দিক থেকে হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশ এখন নানা সংকটের মধ্যে রয়েছে।’