মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চুরি হওয়া মুঠোফোন ফেরত চাইতে গিয়ে প্রতিবেশীর হামলায় কাশেম শিকদার (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের চর গুয়াতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাশেম শিকদার ভোরেরবাজার এলাকার জয়নাল শিকদারের ছেলে। থানা-পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ মাস আগে আবু কাশেম শিকদারের ঘর থেকে দুটি স্মার্ট মুঠোফোন চুরি হয়। এ সময় বাড়ির লোকজন প্রতিবেশী রাসেল মাদবরকে দৌড়ে পালাতে দেখেন। তাঁরা রাসেলকে ধাওয়া করেও ধরতে ব্যর্থ হন। এর পর থেকে রাসেল আর বাড়ি আসতেন না।
প্রায় ৩ মাস পর গতকাল রোববার বাড়িতে আসেন রাসেল। এ খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে কাশেম শিকদার ও তাঁর ছেলে মামুন শিকদার চুরি যাওয়া মুঠোফোন দুটি চাইতে রাসেলদের বাড়িতে যান। এ সময় রাসেলের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাসেল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মিলে লাঠিসোঁটা দিয়ে কাশেম শিকদার ও তাঁর ছেলে মামুন শিকদারকে মারধর করেন। হামলায় কাশেম শিকদার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কাশেম শিকদারকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে মামুন শিকদার বলেন, ‘আমাদের ঘর থেকে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় আমরা রাসেলকে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমাদের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সে বাড়িতে এসেছে জানতে পেরে আজকে আমি ও আমার বাবা মোবাইল চাইতে তাঁদের বাড়িতে যাই। এ সময় রাসেল, তাঁর বাবা কাশেম মাদবরসহ পরিবারের সদস্যরা কোদাল, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। ওদের হামলায় আমার বাবা মারা গেল। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে রাসেল মাদবর ও তাঁর বাবা কাশেম মাদবর আত্মগোপন করেছেন। তাঁদের মুঠোফোনে ফোন করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইল ফেরত চাইতে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। নিহত ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।