প্রয়াত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেছেন, লেখকের স্বপ্নের ক্যানসার হাসপাতাল তাঁর একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো সবাইকে ডাক দিয়ে, সবাইকে নিয়ে কাজটা করতেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শাওন বলেন, ‘একটা জাদুঘর বানানোর স্বপ্ন ছিল হুমায়ূন আহমেদের। জাদুঘরের নকশা করা হয়েছে। এটা বানানোর জন্য যে বাজেট লাগবে, সেটা জোগাড় করতে পারব। আশা করি, জাদুঘরটা হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যানসার হাসপাতাল আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যদি বলতেন, আসেন আমরা সবাই মিলে একটা ক্যানসার হাসপাতাল করি; সেটা হতো। তিনি বেঁচে থাকতে যেটা করতে পারতেন, সেটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আমি আমার দিক থেকে যেভাবে চেষ্টা করার, যত জনের কাছে যাওয়ার, আমি গিয়েছি। আমি সে রকম সাড়া পাইনি। কিন্তু আমি চেষ্টাটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি কানাডা থেকে একটি দল আমার কাছে এসেছিল, তারা ক্যানসার হাসপাতালটা করতে চায়। তবে বিষয়টি একদম শুরুর পর্যায়ে আছে।’
নেত্রকোনায় হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ফলাফলে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বলে জানালেন শাওন। বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাতেও জেলার বিশেষ স্থানে রয়েছে বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি সরকার বিদ্যালয়ে একটি চারতলা ভবন করে দিচ্ছে। চেষ্টা চলছে প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিদ্যালয়কে কলেজে পরিণত করার।
আজ সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিনিত হুমায়ূন ও নিষাদ হুমায়ূন কবর জিয়ারত করেন। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই লেখকের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।