পুলিশের বাধার পর সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে
পুলিশের বাধার পর সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে

পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়ক অবরোধ করতে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাধা দেওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এতে তাঁদের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

আন্দোলনকারী কয়েকজন জানান, বেলা তিনটা থেকে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড নিয়ে গোলচত্বরে জড়ো হন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকের দিকে যান। এরপর পুলিশ বাধা দিলে বাধা ঠেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধের পর বিকেলে সোয়া পাঁচটার দিকে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট দেখা যায় তৈরি হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্রধান ফটকে আসি। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের লাঠিপেটা করে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আহত করেন। তবে কেউ গুরুতর আহত হননি। আমরা বাধা উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ করি।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সড়কে যানজট হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাঁরা ছাত্রনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানসহ নেতা-কর্মীরা প্রধান ফটকে অবস্থান করছিলেন। তার আগে সংগঠনটির সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে তিনটায় ক্যাম্পাসে মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাওয়া এবং সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুর যৌক্তিক সমাধানের দাবিতে যাওয়ার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি সড়কে ছিল। শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ আন্দোলন করে চলে গেছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।