নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ব্যবসায়ী শাহ আলম গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীকে অপহরণ করে মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় হারুন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ, মো. মোকারম, শাহাদাৎ হোসেন, আবুল হোসেন, ফিরোজ, আনোয়ার হোসেন, সাইদ, নজরুল, শামসুল ইসলাম ও হালিম খান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, মঙ্গলবার মামলার বাদী আদালতে মামলার আবেদন জানালে আদালতের নির্দেশে হারুনসহ ১১ জনের নামে চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
মামলায় বাদী শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ২০ লাখ টাকাসহ জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত আসামিরা। এ সময় তাঁরা তাঁকে অপহরণ করে আলীগঞ্জে মোকারিমের অফিসে নিয়ে যান। তাঁকে মারধর করে ১০টি অলিখিত চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নেন।
শাহ আলম আরও অভিযোগ করেন, আসামিরা অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেকের সহায়তায় প্রায় সাত কোটি পাঁচ লাখ টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। হারুন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় এত দিন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেননি।
এর আগে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুরে শাহীন আল মামুন নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে হারুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হারুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ওই মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী শাহীন। আদালত নির্দেশে ৩০ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।