মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি গ্রাম্য মেলার পাশে থেকে বোমাসদৃশ একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তা ধ্বংস করেছে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের আটিগ্রাম এলাকা থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়।
পুলিশ, মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলার পাশে বলাকা সংসদ ক্লাবের সামনে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার, র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিল ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বোমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যদের খবর দেন। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পাশে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
র্যাব-৪–এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, টাইম বোমাসদৃশ বস্তুটি উদ্ধারের পর অন্যত্র নিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অনেক আগে থেকে আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মাঠে প্রতিবছর ‘মা বুড়ির মেলা’ হয়ে আসছে। মেলার পাশ থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, প্রায় ২০০ বছর ধরে সেখানে মা বুড়ির মেলা হয়। বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এই মেলার আয়োজনে আধিপত্য নিয়ে এলাকার তিনটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান। এ বিরোধের জেরে মেলায় আসা লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টিতে সেখানে টাইম বোমাসদৃশ বস্তু রাখা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। কামরুল হাসান বলেন, ওই তিন পক্ষের কেউ আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনটি পক্ষে কে বা কারা আছে, এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া মন্তব্য করতে নারাজ এই পুলিশ কর্মকর্তা।