আশুলিয়ায় পোশাকশ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজন গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে এক নারী পোশাকশ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার উপজেলার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আরও দুজন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়ার মনিরুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু (২৫) ও আহসান আহম্মেদ রায়হান (২২), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রফিকুল মিয়া (২২), ফরিদপুরের দেলবাড়িয়া শেখর কান্দী এলাকার আরাবি হুসাইন ওরফে শান্ত (১৯) এবং কিশোরগঞ্জের পুরান বৌ লাইন এলাকার মো. জুয়েল (২২)। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন সাগর ওরফে লিটন (২২) ও মো. তুহিন (২৩)।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাগর ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর এক বান্ধবীকে আশুলিয়ার একটি স্কুল মাঠে নিয়ে যান। সেখানে মনিরুল ইসলাম, আহসান আহম্মেদ রায়হান, রফিকুল মিয়া, আরাবি হুসাইন শান্ত, মো. জুয়েল ও মো. তুহিন উপস্থিত ছিলেন। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মনিরুল ইসলাম জরুরি কথা আছে জানিয়ে আশুলিয়ার একটি স্থানে ওই নারীকে যেতে বলেন।

সন্দেহ লাগায় ওই নারী সাগরকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। এ সময় মনিরুল ইসলাম ওই নারীকে বাজে প্রস্তাব দিলে তিনি কৌশলে সেখান থেকে চলে আসেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মনিরুল আবার কৌশলে তাঁকে একই স্থানে ডেকে নেন। পরে মনিরুল ইসলাম ও আহসান আহম্মেদ রায়হান ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। সেখানে উপস্থিত অন্য আসামিরা ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করেন। একপর্যায়ে রফিকুল মিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী চিৎকার দেন। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।

পরে বিষয়টি জানিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৪ সিপিসি-২, সাভার ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। র‍্যাব গতকাল ভোরে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে এবং সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) নির্মল কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে র‌্যাব পাঁচজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় গতকাল রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পরে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’