চট্টগ্রামে এখন থেকে নির্মাণাধীন ভবন ও ছাদবাগানমালিকদের মশার ওষুধ ছিটানোর স্প্রে মেশিন রাখতে হবে। আর তিন দিন পরপর মশার প্রজননস্থলে ওষুধ ছিটাতে হবে। ওষুধ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও মেশিন ভবনমালিকদের নিজেদের টাকা কিনতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা হয়। একই সভায় ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও ৯টি সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোবারক আলী এসব সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণাধীন ভবন ও ছাদবাগান এডিস মশার বড় প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে। প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য ভবনমালিকদের নিজের টাকায় ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনতে হবে। আর তাঁরা যদি চান, তাহলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ দেওয়া হবে।
সভায় নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ২ হাজার লিটার লার্ভিসাইড (লার্ভা মারার ওষুধ) ও ১৫ হাজার অ্যাডালটিসাইড (উড়ন্ত মশার নিধন ওষুধ) কেনা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের সুপারিশ করা মসকুবার ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধী প্রচারের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ১৫ হাজার টাকা করে এবং আবাসিক এলাকায় উঠান বৈঠকের জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ প্রচারে স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম, স্থানীয় কেব্ল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে এবং আবাসিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করা হবে।