শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মন্টু ব্যাপারী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাতে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছেলে ও ভাতিজার সামনে উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের সাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মন্টু ব্যাপারীর বাড়ি চরধুপুড়িয়া ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত আরশেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে। ঢাকায় তিনি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে ওই এলাকায় সংগঠিত একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মন্টু।
জাজিরা থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মন্টু ব্যাপারীর সঙ্গে সাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামের কয়েকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২০ সালে ওই দুই পক্ষের শত্রুতার জেরে রিয়াজ নামের এক কিশোর খুন হন। এরপর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। ওই কিশোরকে হত্যার অভিযোগে যে মামলা করা হয় তাতে মন্টু ব্যাপারী আসামি ছিলেন।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাজিরার একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন মন্টু। তাঁর সঙ্গে ৯ বছর বয়সী ছেলে মুছা ব্যাপারী এবং ভাতিজা বাবু ব্যাপারী ছিলেন। সাকিম আলী মাদবরকান্দি এলাকায় এলে দুর্বৃত্তরা তাঁদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এ ঘটনা দেখে মুছা দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা মন্টু ব্যাপারী ও বাবু ব্যাপারীকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক মন্টু ব্যাপারীকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত বাবু ব্যাপারীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মন্টু ব্যাপারীর এক ভাগনে ফারুক সরদার বলেন, ‘পূর্ববিরোধ ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারের কারণে মামাকে জীবন দিতে হলো।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল। ওই শত্রুতার জের ধরে মন্টু ব্যাপারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা শুনেছেন। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে। আর ওই ঘটনায় আজ শনিবার বেলা একটা পর্যন্ত মামলা হয়নি।