জামালপুরে ২০২২ সালে মিছিলে হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মো. আবুল কালাম আজাদসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী জামালপুর শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ ওরফে মামুন।
গতকাল সোমবার রাতে সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন বিএনপির ওই নেতা।
অন্য আসামিরা হলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াছমিন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রায় দুই বছর পর মামলা করার বিষয়ে বাদী শেখ ফরিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার দিন বকুলতলা এলাকায় আমরা একটি মিছিল করছিলাম। সেই সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করেছিল। তারা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় আমাদের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়। মামলা তো অনেক দূরের কথা, ওই সময় আমাদের চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়নি। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। ওই সময় মামলা করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তাই এখন মামলা করেছি।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের দাবি, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি, পুলিশের গুলিতে মকবুল হোসেন হত্যার প্রতিবাদ, মিথ্যা গায়েবি মামলা, হামলা, সন্ত্রাস–নৈরাজ্য, বিএনপির দলীয় কার্যালয় জবরদখল ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে গণমিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে জামালপুর শহরের সকাল বাজার থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের বকুলতলা এলাকায় পথসভা করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতা-কর্মী আহত হন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সল মো. আতিক প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। একজন ভুক্তভোগী যেকোনো সময়ই মামলা করতে পারেন। এখন বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।