দখলদারত্ব, লুটপাট, বাজার সিন্ডিকেট রুখে দাঁড়ানোর দাবিতে সিপিবি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সমাবেশ। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে
দখলদারত্ব, লুটপাট, বাজার সিন্ডিকেট রুখে দাঁড়ানোর দাবিতে সিপিবি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সমাবেশ। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে

ঘুষ, দুর্নীতি, দখলদারত্ব ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবির সমাবেশ

ঘুষ, দুর্নীতি, দখলদারত্ব, লুটপাট, বিচার–বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সামাজিক অস্থিরতা ও লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটি। আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ গণসমাবেশ হয়।

সিপিবি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি আবদুল হাই শরীফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, বিমল কান্তি দাস, শাহানারা বেগম, সুজয় রায় চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, শোভা সাহা, শিশির চক্রবর্তী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দেশে বাজার সিন্ডিকেটের অবাধ লুটপাট চলছে। লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে; কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য মাজারে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে, বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপর নানা প্রকার সাম্প্রদায়িক হামলা ও অত্যাচার করা হয়েছে, কয়েকজন পাহাড়ি ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্কুলের শিক্ষকদের ওপর এখনো হামলা করা হচ্ছে। শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যায়সংগত দাবি করায় তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার কোনো বাস্তবায়ন আমরা দেখছি না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশ গভীর সংকটের দিকে যাচ্ছে। আমরা ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চাই। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে, দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে হবে। মাজার, মন্দির, বাড়িঘর ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’

বক্তারা আরও বলেন, ’৫২–এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২–এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৯–এর গণ–অভ্যুত্থান ও ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হলে তা বামপন্থীরা রুখে দাঁড়াবে। সংবিধানের অগণতান্ত্রিক কোনো কোনো ধারা বাতিল করা যেতে পারে; কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমরা নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের দাবি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। আমরা চাই, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা। জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা নিয়ে যাঁরা বিতর্ক তোলার চেষ্টা করছেন আমরা দেশের সব বামপন্থীরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।