সিলেটের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত কিনব্রিজের নিচে একটি সাইনবোর্ডে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেতুর নিচে দক্ষিণ পাশের অংশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের নাম সোহেল মিয়া (৩৮)। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার আইয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেটে সবজির ব্যবসা করতেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোহেল মিয়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার ভাড়া থাকতেন। তিনি সবজির ব্যবসা করলেও সম্প্রতি ব্যবসা কমিয়ে দিয়ে অনেকটা ভবঘুরের মতো চলাফেরা করতেন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন বিজ্ঞাপনী সংস্থার একটি সাইনবোর্ডের সঙ্গে একটি মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে।
দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় চোর সন্দেহে মারধরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া সারপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মখলিছ আলী (৫২) বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়নের সারপারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ভবঘুরে অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে সারপার বাজারে একটি দোকানের সামনে চোর সন্দেহে মখলিছ আলীকে বাজারের পাহারাদাররা আটক করেন। এ সময় পাহারাদাররা তাঁকে মারধর করেন। পরে অচেতন হয়ে গেলে তাঁকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, চোর সন্দেহে মারধরে আহত হয়ে মখলিছ আলী মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।