বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
আজ শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, রাখবে। এই সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর কিছু আলামত আমাদের সামনে ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে রাজি, তবু স্বৈরশাসন মেনে নেয় না। এই এনায়েতপুরই তার অনন্য উদাহরণ।
তারেক রহমান বলেন, ‘বেলকুচি ও এনায়েতপুর হলো তাঁতশিল্পের এলাকা। তাঁতশিল্পকে কীভাবে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা যায়, তার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে চাই। যমুনা নদীবিধৌত চৌহালীর বিস্তীর্ণ চর এলাকায় পর্যাপ্ত বাদাম ও তিল চাষ হয়। আমরা এসব সম্ভাবনাময় কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে চাই।’
আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এনায়েতপুর, চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ ও বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মুহিত।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুর জব্বার, সাধারণ সম্পাদক মির্জা মুরাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুরুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টু সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক বিজয় আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।