খুলনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফারুক আলী মীর (৪০) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ফারুক আলী পার্শ্ববর্তী তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর বাবা গাউস মীর একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অঞ্চলটিতে মীর ও শিকদার বংশের লোকজনদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় কোলা বাজারে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে গুরুতর আহত হন ফারুক আলী মীর। পরে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত আরও কয়েকজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁরা হলেন নুরু মোল্লা (৪০), জসিম মীর (৪০), গাউছ মীর (৭০) ও ইলিয়াছ (৫০)। এদের মধ্যে নুরু মোল্লার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
এ ঘটনার পর পর এলাকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সম্ভাব্য সংঘাত এ ড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের’ হাতে খুন হয়েছেন যুবদল নেতা ফারুক আলী। জেলা বিএনপির নেতারা গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, গতকাল কুলাবাজারে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনার জানানোর পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খানসহ অন্য নেতারা। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।