লালমনিরহাটের আদিতমারীর পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি গ্রামে তিন দিনেও পুলিশের পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া শিক্ষক নুরুল আমিনের সন্ধান পায়নি পরিবার। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে আদিতমারী থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত নুরুল আমিনকে উদ্ধার কিংবা অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটছে অপহৃত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের।
উল্লেখ্য, পুলিশের পরিচয় দিয়ে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নামুড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে (৫৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, পুলিশের কেউ তাঁকে তুলে আনেনি। অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এন এম শরিফুল ইসলাম বলেন, নুরুল আমিনের অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে আজ রোববার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। অপহৃত প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নিয়েছেন। এরপর মুঠোফোনে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলেছেন। ওসি জানিয়েছেন, গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের আদিতমারী উপজেলা শাখার সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন্নবী নাহিদ বলেন, এভাবে কাউকে গায়ের জোরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অপহরণের শিকার প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের জন্য তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জানতে চাইলে ওসি মোক্তারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় শনিবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বসহকারে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। মামলা তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ঘটনাটি নিয়ে আজ প্রথম আলোর রংপুর সংস্করণে ‘পুলিশ পরিচয়ে শিক্ষককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।