কক্সবাজারে হত্যাসহ তিনটি মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে আদালতে কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জামিন পাওয়া মাসেদুল হক রাশেদ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হত্যাসহ তিনটি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ। মাসেদুল হকের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্টের পর এসব মামলা করা হয়।
দুপুরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় বিচারকের প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত কয়েকজন আইনজীবীও। কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিন দেওয়া হচ্ছে। তাই বিচারককে প্রত্যাহার করতে হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালত জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সিদ্দিকীর জিম্মায় আওয়ামী লীগ নেতা মাসেদুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। আবুল কালাম সিদ্দিকী বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত প্যানেল থেকে আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাসেদুল হককে যে তিনটি মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তিনি এসব মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। একই সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে মাসেদুল হককে গুরুতর অসুস্থ বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে। সব বিবেচনা করে আদালত মামলায় মাসেদুলকে জামিন দিয়েছেন।
মাসেদুল হক রাশেদকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫। পরে তাঁকে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর মধ্যে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল চলাকালে কক্সবাজারে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।