সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগের ছয় শতাধিক নেতা–কর্মীর নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
বাদী আরিফুল ইসলাম উপজেলার কলাকোপা খন্দকার হাটির আবদুল লতিফের ছেলে। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ৩০ জুলাই নবাবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর ককটেল ছোড়েন। এতে বাদী (আরিফুল) আহত হন।
মামলায় নবাবগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান (তরুণ), নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (ঝিলু), দোহার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান, ভাতিজা ইফতেখার আহমেদ (হৃদয় মিয়া), নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান (কিসমত), সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনসহ ২৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০–৪০০ জনকে।
এর আগে ২৫ আগস্ট দোহার থানা ও ২ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় সালমান এফ রহমানকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৩০ জুলাই তাঁদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। বাদী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন—এমনটাই অনেকেই জানেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের হয়রানি ও এলাকা থেকে বিতারিত করতেই এ মামলা সাজানো হয়েছে। তদন্ত করা হলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
ঢাকার পুলিশ সুপার আহমেদ মুঈদ প্রথম আলোকে বলেন, থানা–পুলিশকে যাচাই–বাছাই করে মামলা নিতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হন।