ছাত্রলীগ নেতা মো. আল আমিন হোসেনের বহিষ্কার চেয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরই সংগঠনের কয়েকজন কর্মী। আজ সোমবার সকালে নগরের লক্ষ্মীপুরের ঝাউতলা মোড়ে অবস্থিত আইএইচটি ক্যাম্পাসে
ছাত্রলীগ নেতা মো. আল আমিন হোসেনের বহিষ্কার চেয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরই সংগঠনের কয়েকজন কর্মী। আজ সোমবার সকালে নগরের লক্ষ্মীপুরের ঝাউতলা মোড়ে অবস্থিত আইএইচটি ক্যাম্পাসে

রাজশাহী আইএইচটির ছাত্রলীগ সভাপতির বহিষ্কার চেয়ে ‘নির্যাতিত’ কর্মীদের মানববন্ধন

রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিন হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। আজ সোমবার সকালে নগরের লক্ষ্মীপুরের ঝাউতলা মোড়ে অবস্থিত ক্যাম্পাসে ‘নির্যাতিত ছাত্রলীগ কর্মীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

এর আগে সিট-বাণিজ্য ও এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার মো. আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতার ছয় অনুসারীকেও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

আজ সকালের মানববন্ধনে ১০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁরা ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। মানববন্ধনে ছিলেন নির্যাতিত ছাত্রলীগ কর্মী আবু সাঈদ (রকি)। গত বছর ২৬ জুলাই ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে সভাপতির অনুসারীরা মারধর করেন।

মানববন্ধনের বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন হয়েছে বলে একটি ছবি পেয়েছেন। ছবিতে যাঁরা আছেন, তাঁরা বহিরাগত হতে পারেন। তাঁদের মুখে মাস্ক পরা। আর এটা ভোরে হতে পারে। কারণ, ছবিতেই দেখা যাচ্ছে, তখনো পেছনে গেট খোলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন আর ভয়ের কী আছে? তাঁর মা অসুস্থ। তিনি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। কোনো একটা পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে লেগেছে বলে দাবি আল আমিনের।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছেন। তবে তাঁরা ছাত্রলীগের কেউ নন। তিনি আরও বলেন, আল আমিনের বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।