রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মণ্ডলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে দৌলতদিয়ার ব্যাপারীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুর রহমান গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি। সম্প্রতি উপজেলার দৌলতদিয়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতাকে খর্ব করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ উপজেলার রেলগেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ এনে ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন শরিফুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। এতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০–৪০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২৬ নম্বর আসামি দৌলতদিয়া ইউপির সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান। মামলার পর থেকে আবদুর রহমান পলাতক ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পর তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী শরিফুল ইসলামের বাবা শাহজাহান শেখকে (শাহজাহান মেম্বার) হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও আছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনি (আবদুর রহমান) মামলার বাদীর বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে বাদীর পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবদুর রহমানকে আজ মঙ্গলবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি, গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য ইউনুস মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার ওই দুই নেতার পরিবার ও স্বজনদের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।