দ্রুত বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুটে ভারতীয় ভিসা দেওয়া শুরু হবে: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পোস্ট দিয়ে বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুটে ভারতীয় ভিসা দেওয়া শুরু হবে। সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে আমদানি-রপ্তানিকারক, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মনোজ কুমার বলেন, এত দিন সীমিত পরিমাণে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। শিগগিরই বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে সবার জন্য ভিসা ইস্যু উন্মুক্ত করা হবে। এ জন্য তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা চালুর দিনক্ষণ নির্ধারণ করে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল হান্নান শেখ, সহসভাপতি রেজাউল করিম, সহসভাপতি মেহেদী হাসান খান, বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি আবদুল লতিফ তারিন, সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নজরুল ইসলাম, বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, আমদানিকারক, বন্দরের কর্মকর্তা, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীতে নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার এর আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চেম্বার অব কমার্সের পরিচালকেরা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি শুরু হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও মানুষ পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর করোনা সংক্রমণ কমে গেলে দেশের অন্য স্থলবন্দরগুলোর মতো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে মানুষ পারাপার চালু হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেওয়া ভিসায় ভারতীয় হাইকমিশন এই বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। ১৮ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশিরা এই রুটে ভিসা পাচ্ছেন না। এই সময়ে ভারতীয় নাগরিকসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী রুট দিয়ে যাতায়াত করতে পারলেও বাংলাদেশিরা নতুন করে ভারতীয় ভিসা পাচ্ছিলেন না।