আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী নেতা-কর্মীরা ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৩ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘আমরা বিএনপি’ পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীদের হাতে শেখ হাসিনা বৈধ-অবৈধ অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। এখনো তাঁদের হাতে থাকা ১ হাজার ৮৮৮টি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী নেতা-কর্মীরা ঘাপটি মেরে আছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এসব অস্ত্র অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্ধার করতে হবে। তা না হলে তারা দেশের জনগণের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করবে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ তাঁর।

আজ সোমবার দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার চক আকাশ তারা গ্রামে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত কমর উদ্দিন খান, শাকিল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়। সেখানে রিজভী এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর সময় তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ সদস্যদের কাছে থাকা যেসব অস্ত্র লোপাট হয়েছে, তা আরও অত্যাধুনিক, সেই অস্ত্র কোথায় গেছে? এই জনারণ্যে, এই সমাজে নিশ্চয়ই সেই অস্ত্র আছে। এ দেশে শান্তি, স্থিতি, স্বস্তি নিশ্চিত করতে হলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’

রিজভীর অভিযোগ, একটা পদ্মা সেতু ও কিছু উড়ালসড়ক দেখিয়ে ঋণের টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ টাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মী ও তাদের ব্যবসায়ীদের কাছে আছে। এ টাকা খরচ হবে সন্ত্রাসের কাজে, এ টাকা খরচ হবে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে। এ টাকা গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলার কাজে খরচ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিগত সরকারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৬ বছরে কোনো ধরনের নিয়মকানুন মেনে দেশ চলেনি। উন্নয়নকাজ হয়েছে শেখ হাসিনার মুখ চেয়ে। শেখ হাসিনার কথার বাইরে কিছুই হয়নি। কোনো আইন ছিল না, কোনো মেধার মূল্য ছিল না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আশরাফ উদ্দিন ও সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।