গাইবান্ধা–৫ উপনির্বাচন

ভোট নিয়ে যা বললেন আ.লীগের ও অন্য দলের প্রার্থীরা

কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ সকালে সাঘাটা উপজেলার বারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া সবাই নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এজেন্ট বের করে দেওয়া, কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর একযোগে চার প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাঘাটা উপজেলার বগেরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে চার প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে বেলা দুইটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন।

জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোটকেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তাই তাঁরা একযোগে চার প্রার্থী ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, ভোটের আগের রাতে কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশি হয়রানি করা হয়েছে। জাপার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। আজ ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে ভোট দিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ ছিল না। তাই তাঁরা ভোট বর্জন করেছেন। ভোট বর্জন করা অন্য প্রার্থীরা একই ধরনের অভিযোগ করেন।

অনিয়মের অভিযোগ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। বুধবার বগেরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কোনো কর্মী-সমর্থক অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেননি, বাধাও দেননি। ভোটের আগের রাতেও কেউ হুমকি দেননি। তিনি বলেন, উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

আজ সকাল আটটায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে দুই উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় ছয় ঘণ্টা ভোট গ্রহণের পর বেলা দুইটার দিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন। এর আগে ৪৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপনির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল। এ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।