চিকিৎসক কুরবান আলী হত্যা মামলার আসামি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা গোলাম রসুল ওরফে নিশানকে (সাদা শার্ট) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গত বুধবার
চিকিৎসক কুরবান আলী হত্যা মামলার আসামি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা গোলাম রসুল ওরফে নিশানকে (সাদা শার্ট) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গত বুধবার

সহযোগীসহ কিশোর গ্যাং নেতার রিমান্ড মঞ্জুর

চট্টগ্রামে এক অনুসারীসহ কিশোর গ্যাং নেতা গোলাম রসুল ওরফে নিশানের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী রাসেল সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় দন্তচিকিৎসক কুরবান আলীকে খুনের মামলায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গোয়েন্দা পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত গোলাম রসুলের তিন দিনের এবং তাঁর সহযোগী আরিফ উল্লাহর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গোলাম রসুল ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহসভাপতি। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে। নগরের আকবর শাহ থানার পশ্চিম ফিরোজ শাহ এলাকায় তাঁর বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। গোলাম রসুল তাঁর এক অনুসারী আরিফ উল্লাহসহ গত বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৫ এপ্রিল নগরের আকবর শাহ থানার পশ্চিম ফিরোজ শাহ আবাসিক এলাকায় দন্তচিকিৎসক কুরবান আলীকে পিটিয়ে আহত করেন গোলাম রসুলের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাঁর মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলে আলী রেজাকে বাঁচাতে এসে তিনি হামলার শিকার হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল চিকিৎসক কুরবান আলী মারা যান। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় হত্যা মামলা হয়। এরপর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন মো. সামি, মো. রিয়াদ ও আকবর। ঘটনার পর পুলিশ গোলাম রসুলের একটি টর্চার সেলেরও সন্ধান পায়।