ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ

কুড়িগ্রামে শীতের দাপট, চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ

পৌষের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। সকাল থেকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় শীতের অনুভূতি বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কয়েক দিন থেকে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে দুর্ভোগে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় জেলার শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে বের হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা।

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের মাঝের আলগার চরের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত। কাজে বের হলে হাত-পা হিম হয়ে যায়। কিন্তু কাজে বের না হলে তো চলে না। খাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন নৌকা ঘাটের চালক মোসলেম উদ্দিন বলেন, শীতের কারণে ১০ হাত দূরের কোনো কিছু দেখা যায় না। এ অবস্থায় নৌকা চালাতে অসুবিধা হয়। এক ঘণ্টা দূরত্বের নৌপথ যেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী এক সপ্তাহ তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে কনকনে ঠান্ডা থাকবে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, দুই দিন থেকে শীত পুরোদমে নেমে গেছে। কনকনে শীতের কারণে গরিব মানুষ কষ্টে আছে। জেলা প্রশাসকের দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায় পর্যাপ্ত কম্বল আছে বলে তিনি শুনেছেন, তবে ভোটের কারণে কম্বল বিতরণ শুরু হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিছুদিন আগে হাফিজিয়া মাদ্রাসাগুলোতে চার শ কম্বল বিতরণ করেছেন।

জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ প্রথম আলোকে জানান, কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৯ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে কম্বল বিতরণ করা হবে।