পথে বাধার আশঙ্কায় আগেভাগেই খুলনায় গণসমাবেশস্থলে পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নেতা–কর্মীরা ‘বিকল্প পথে’ কুষ্টিয়া যাওয়া শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। তবে কোন পথে, কীভাবে নেতা–কর্মীরা খুলনায় যাবেন, তা প্রকাশ করছেন না তাঁরা।
কুষ্টিয়ার বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশ যোগ দিতে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলার নেতা–কর্মীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বিভাগীয় গণসমাবেশে কুষ্টিয়া থেকে অন্তত পাঁচ হাজার নেতা–কর্মী যাবেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে নেতা–কর্মীরা খুলনার পথে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার রাতে গিয়ে অন্তত আড়াই হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশ মাঠে হাজির হবেন। বাকিরা শনিবার সকালের মধ্যে পৌঁছাবেন। কুষ্টিয়া থেকে সরাসরি খুলনায় যাওয়ার পথে নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হতে পারেন। এ কারণে নেতা–কর্মীরা ‘বিকল্প পথে’ ঘুরে ঘুরে খুলনা পৌঁছাবেন। যেকোনো উপায়ে তাঁরা সমাবেশ মাঠে থাকতে চান।
এদিকে খুলনা জেলা বাস মালিক সমিতি ২১ ও ২২ ডিসেম্বর সেখানে কোনো বাস প্রবেশ ও বের না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কুষ্টিয়া থেকে এখনো বাস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতার হোসেন।
বাস বন্ধের বিষয়টি আগেই চিন্তা করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার। তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা বিকল্প উপায়ে যাওয়ার বিষয়টি আগেই ভেবে রেখেছে। সেটা কীভাবে এই মুহূর্তে বলতে চাইছি না। তবে কিছু নেতা-কর্মী সমাবেশের দু–এক দিন আগেই খুলনায় অবস্থান করবেন। সব মিলিয়ে কুষ্টিয়া থেকে অন্তত পাঁচ হাজার নেতা–কর্মী যেকোনো উপায়ে খুলনা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
বিএনপি নেতা–কর্মীরা বলছেন, বাস বন্ধ করে নেতা–কর্মীদের ঠেকানো যাবে না। তাঁরা ট্রেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে সমাবেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বাস বন্ধ হবে আমরা জানতাম। এখন বিকল্প উপায়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। কুষ্টিয়া থেকে প্রচুর কর্মী প্রস্তুত হচ্ছেন, সমাবেশে যোগ দেবেন। আন্দোলন চাঙা হবে।’