মো. শাহীন আলী ও মো. আবদুল্লাহ
মো. শাহীন আলী ও মো. আবদুল্লাহ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিন শিশু নিখোঁজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিন শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে নিখোঁজ দুই শিশুর বাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

নিখোঁজ তিন শিশু হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর নারায়ণপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের মো. শাহলালের ছেলে মো.আবদুল্লাহ (১২), মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহীন আলী (১৩) ও মো. কুড়হান আলীর ছেলে মো. আরাফাত (১২)। নিখোঁজ এই তিন শিশু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বিদিরপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার ছাত্র।

পুলিশ ও জিডি সূত্রে জানা যায়, সাতরশিয়া গ্রামের ছয়জন মাদ্রাসার ছাত্র একসঙ্গে গত রোববার দুপুরে বিদিরপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। তাদের মধ্যে তিনজন বিকেলে মাদ্রাসায় যায়। আরাফাত ও আবদুল্লাহকে নিয়ে শাহীন আলী সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ডাইংপাড়ার তার নানা মো. কুসুমুদ্দীনের বাড়িতে ওঠে। পরদিন সোমবার বিকেলে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে তিনজন একসঙ্গে ওই বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তারা আর মাদ্রাসায় যায়নি। এর পর থেকে তিনজন নিখোঁজ আছে।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিখোঁজ শাহীনের বাবা আজিজুল ইসলাম ও আবদুল্লাহর বাবা মো. শাহলাল রাতে নিখোঁজ তিন শিশুর সন্ধান চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় জিডি করেন। নিখোঁজ আরাফাতের বাবা কুড়হান আলী ঢাকায় থাকেন।

মো. শাহলাল প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার দুপুরে মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তিন শিশু নিখোঁজ আছে। পরে রাতে তাঁর থানায় জিডি করেছেন।

মাদ্রাসাটির শিক্ষক মো. নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ছয়জনের মধ্যে মাদ্রাসায় তিনজন ছাত্র এসে বলে, অন্য তিনজন বাড়িতেই আছে। তাই তাঁরা বুধবারের আগে জানতে পারেননি যে তিন শিশু নিখোঁজ আছে। নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে এখন তাঁরাও খোঁজ করছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল কাদির, জিডির পর নিখোঁজ তিন ছাত্রের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি চলছে।