নাব্যতা–সংকটে ১২ দিন বন্ধ থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে চিলমারী নৌবন্দর রমনা ঘাট থেকে ‘কদম’ নামের একটি ফেরি পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে রৌমারী ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
এই নৌপথের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান প্রথম আলোকে বলেন, রৌমারী বলদ মারা ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় ফেরি বিভিন্ন জায়গায় মাটির সঙ্গে আটকে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখে খনন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার খননকাজ শেষ হয়েছে। আজ ফেরি কদম চিলমারী ঘাট থেকে এবং কুঞ্জলতা নামের অপর একটি ফেরি রৌমারী ঘাট থেকে আবার চলাচল শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা–সংকটের কারণে রৌমারী ঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফেরির নিচের অংশ মাটিতে আটকে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ৮ নভেম্বর এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে চিলমারী বন্দর ঘাটে শতাধিক পণ্যবাহী পরিবহনের শ্রমিক ও চালকেরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। পরে তাঁরা বিকল্প পথে গন্তব্যে যান।
চিলমারী-রৌমারী নৌপথে নিয়মিত চলাচল করা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে আসা ট্রাকচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফেরি চলবে শুনে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে এসেছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের খনন নিয়মিত না করায় কিছুদিন পরপর নাব্যতা–সংকট দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে। এতে তাঁদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এ ছাড়া পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ ফেরি চলাচল বন্ধ করায় চিলমারী বন্দর থেকে ঘুরে সিরাজগঞ্জ হয়ে জামালপুর যেতে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। ১২ দিনে প্রায় ২ হাজার ফুট এলাকা খনন করা হয়েছে। খননের সব ধরনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। নির্বিঘ্নে ফেরি চলাচলের জন্য নদীর বিভিন্ন স্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এই নৌপথে ফেরি চলাচল করছে।