হবিগঞ্জের বাহুবলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। গুরুতর আহত এক পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত ব্যক্তিরা হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ সম্পর্কে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, গণপরিবহনের নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকে পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মিরপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হঠাৎ পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালান। এতে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা একটার দিকে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হন তঁদের পূর্বনির্ধারিত অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে। একপর্যায়ে তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দিকে এগিয়ে যান। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মিছিল নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাহুবল থানার একদল পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী এ সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হন।
গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য শাহ আলমকে (২৫) প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। অন্য আহত ব্যক্তিরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোষার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে মিরপুর বাজার এলাকায় জড়ো হন। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ করে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে তাঁদের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে সহযোগিতা করেন।