চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানার প্ল্যান্টটিতে অতিরিক্ত গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণের সেফটি ভাল্ভ দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিল না। কিন্তু প্ল্যান্টটিতে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য সুমন বড়ুয়া।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে গতকাল শুক্রবার সুমন বড়ুয়া এ কথা বলেন। তবে সেফটি ভাল্ভ কাজ না করার পাশাপাশি অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটিও ছিল বলে জানান তিনি।
সুমন বড়ুয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সভাপতি। তিনি বলেন, তদন্তে সেফটি ভাল্ভ কাজ না করাসহ বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে। তদন্ত শেষ করে এখন প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। কমিটি শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখের পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা রোধে করণীয় বিষয়ে উল্লেখ করা হবে।
সুমন বড়ুয়া বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণটি অনিবার্য ছিল। ওই দিন দুর্ঘটনা না ঘটলেও দুই দিন আগে-পরে দুর্ঘটনা হতোই। তদন্তে জানা গেছে, কারখানাটির যন্ত্রাংশের মেইনটেন্যান্সও দীর্ঘদিন ধরে হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্ল্যান্টে অতিরিক্ত গ্যাসের চাপ হলে সেফটি ভাল্ভের সাহায্যে তা বের হয়। কিন্তু তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেফটি ভাল্ভ দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিল না। কিন্তু দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা সেটি বুঝতে পারেননি। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারলে বিকল্প উপায়ে প্ল্যান্টটিকে অতিরিক্ত গ্যাসের চাপমুক্ত করতে পারতেন।’
সীমা অক্সিজেন কারখানার প্ল্যান্টটি চলত দুজন ডিপ্লোমাধারী ও মানবিক বিভাগ থেকে পাস করা এক কর্মকর্তার মাধ্যমে। প্ল্যান্টের অপারেটর ছিলেন ডিপ্লোমাধারী।
৪ মার্চ সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। ওই দিনই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।