মানিকগঞ্জে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রোমানা ইসলাম (২২) নামের এক গৃহবধূ। তাদের মধ্যে দুই সন্তান সুস্থ আছে, আর দুই সন্তানের শ্বাসকষ্ট থাকলেও শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোমানার চার সন্তানের জন্ম হয়। একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম পরিবারটিতে নিয়ে এসেছে আনন্দের উপলক্ষ।
প্রসূতির স্বজনেরা বলেন, ২০২১ সালের ১৫ মে শিবালয় উপজেলার ধানধারা গ্রামের শেখ মো. নয়নের সঙ্গে হাপানিয়া গ্রামের রোমানা ইসলামের বিয়ে হয়। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে রোমানার প্রসবব্যথা শুরু হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে রোমানাকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর চার সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের মধ্যে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে পৃথক ওয়ার্মার যন্ত্রে চার নবজাতককে রাখা হয়েছে। আর গাইনি ওয়ার্ডের শয্যায় প্রসূতি রোমানাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ নার্স মাবিয়া আক্তারকে বলেন, নবজাতকদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ওয়ার্মার যন্ত্রে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু সাঈদ মো. আসলামের তত্ত্বাবধানে নবজাতকদের চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন, চার নবজাতকের মধ্যে দুই ছেলে নবজাতকের শ্বাসকষ্ট কিছুটা বেশি। ধীরে ধীরে তাদের শ্বাসকষ্ট কমছে। দুই মেয়ে নবজাতকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেও অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। নবজাতকেরা শঙ্কামুক্ত আছে।
একসঙ্গে চার নবজাতকের জন্মের সংবাদে দাদা শেখ সালাম, দাদি নাজমা বেগম, নানা বাবুল বিশ্বাস, নানি নাজমা খাতুন, ফুফু মুন্নী আক্তারসহ স্বজনেরা হাসপাতালে এসেছেন। স্ত্রী ও সন্তানদের ওষুধপত্র নিয়ে ব্যস্ত শেখ মো. নয়ন। সবাই খুব খুশি।
নবজাতকদের বাবা শেখ মো. নয়ন কৃষিকাজ করেন। তিনি বলেন, ‘চার সন্তান পেয়েছি। ঈদের খুশির চেয়ে বেশি খুশি আমরা।’
নবজাতকদের দাদি নাজমা বেগম বলেন, ‘একসঙ্গে চার নাতি ও নাতনি পেয়েছি। এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে! আল্লাহ যেন ওদের সুস্থ রাখে।’