ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১৮ রোহিঙ্গা কোম্পানীগঞ্জে আটক

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা নারী-শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধসংলগ্ন একটি দোকান থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁদের কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আটক রোহিঙ্গারা হলেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ তৈয়ব (৩৮), সামসিদা বেগম (৩২), মো. রেনোওয়ান (১৪), তাসমিন আরা (১২), ইয়াসমনি আরা (১০), মোহাম্মদ আনাস (৮), জেসমিন আরা (৬), মো. ইয়াছের (৪), মো. কাওছার (২), শাহারা বেগম (২৭), সুফিয়া খাতুন (১২), সুমাইয়া আক্তার (১০), শাবনুর আক্তার (৬), ৮৬ নম্বর ক্লাস্টারের মো. ইয়াসমিন (৫), আজিজা খাতুন (১৮), আজিজ খান (১), জাহিদ হোসেন (২২) ও ৭১ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ এবাদ উল্যাহ (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলমগীরের দোকান এলাকায় নারী-শিশুসহ বেশ কিছু লোক ঘোরাফেরা করছিলেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। পরিচয় পাওয়ার পর তাঁদের আটক করে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়। এ সময় তাঁরা জানান, কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁরা ভাসানচর থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে ট্রলারে নদীপথে চর এলাহী এসেছেন। সেখান থেকে তাঁদের চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল। ইউপি কার্যালয় থেকে বিষয়টি থানায় জানানো হলে রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আটক রোহিঙ্গারা ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে দালালের মাধ্যমে পালিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল। চর এলাহীর স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আটক রোহিঙ্গাদের আজ পুনরায় ভাসানচর পাঠিয়ে দেওয়া হবে।