হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের প্রতিবন্ধী এক সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদিশাল গ্রাম থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গাদিশাল গ্রামের বাসিন্দা সূর্যল হক (৪৫), তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তাঁদের সন্তান ইয়াসিন (১০)। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে হয়তো গৃহকর্তা স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর নিজে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। মৃত দম্পতির আরও তিনটি শিশুসন্তান আছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাদিশাল গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে। তিনজনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (পিবিআই) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এখনো এলাকাবাসীর কাছে পরিষ্কার নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় নিহত দম্পতির অন্য তিন সন্তান খেলা করতে বাইরে গিয়েছিল। বাড়িতে থাকলে তারাও হয়তো দুর্ঘটনার শিকার হতো।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সূর্যল হকের লাশ বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়, তাঁর স্ত্রীর লাশ ঘরের মধ্যে খাটের নিচে এবং প্রতিবন্ধী ছেলের লাশ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর ওই ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে এসেছেন।