সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদে গোসলে নেমে ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র আল ওয়াজ আরশ (১৫) নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পিয়াইন নদের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
আরশ তার বাবা মো. জাহিদুল হোসেনের সঙ্গে পিয়াইন নদে গোসলে নেমেছিল। একপর্যায়ে স্রোতের টানে দুজনই ভেসে যাওয়া শুরু করলে স্থানীয় লোকজন নৌকা নিয়ে জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হয় আরশ। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায়ও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরশদের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামে। জাহিদুল হোসেন পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল হোসেন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেলা তিনটার দিকে বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকার পিয়াইন নদে গোসল করতে নামেন। এ সময় সাঁতার না জানায় একপর্যায়ে বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন নৌকা নিয়ে জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেননি।
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. রতন শেখ জানান, পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও পর্যটক কিশোরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়। আজ সকাল সাতটা থেকে ডুবুরি দল উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে আরশের ছোট ভাই ও মা–বাবা রয়েছেন। মায়ের আহাজারিতে জাফলংয়ের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে।
এর আগে গত রোববার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে সাঁতারে নেমে তরুণ এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছিলেন। ৪৪ ঘণ্টা পর তাঁর লাশ পাওয়া যায়।