পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলায় অর্ধদিবস অবরোধ চলছে। আজ রোববার সকাল ছয়টা থেকে পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে এই অবরোধ কর্মসূচি চলছে। অবরোধের কারণে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়কগুলোয় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে।
সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে বেশ কিছু স্থানে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পিকেটিং করেছেন। কিছু স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলা, চেঙ্গী ব্রিজ এলাকা, শিবমন্দিরসহ ২০ থেকে ২৫ এলাকায় নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। জেলা সদর-মহালছড়ি, পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গাসহ উপজেলা সংযোগ সড়কগুলোয় কিছু স্থানে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল করলেও দূরপাল্লার জিপ, বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে না।
১৩ জানুয়ারি ইউপিডিএফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, পার্বত্য চুক্তিকে ঝুলিয়ে রেখে পাহাড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে হয়রানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া অন্যায়ভাবে তল্লাশি, হয়রানি, নির্যাতনসহ নানা নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এসব অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
অবরোধের বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অংগ্য মারমা বলেন, ‘আমাদের অবরোধের ডাকে সাড়া দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন যানবাহন মালিকেরা। আমাদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ বলেন, সকাল ছয়টা থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।