‘গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এলাকার চিত্র। গতকাল শুক্রবার বিকেলে
‘গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এলাকার চিত্র। গতকাল শুক্রবার বিকেলে

খুলনায় পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা, আসামি সাড়ে ৭ হাজার

খুলনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নগরের তিন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। পৃথক মামলায় অজ্ঞাতনামা অন্তত সাড়ে সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) মো. মোজাম্মেল হক।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘিরে নগরের গল্লামারী, জিরো পয়েন্ট এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সুমন কুমার ঘরামী নামের একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ২৫ জনের মতো পুলিশ সদস্য ও ৫০ জনের মতো বিক্ষোভকারী আহত হন।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গতকালের সহিংসতার ঘটনায় নগরের তিন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় গাড়ি পোড়ানো, লবণচরা থানায় পুলিশ হত্যা এবং হরিণটানা থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার জনকে।

লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যা ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া সদর থানায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি কামাল হোসেন খান।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই তিন মামলায় কারও নাম দিয়ে আসামি করা হয়নি। সবাই অজ্ঞাতনামা। আমরা এখনো কাউকে ধরিনি।’