বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে কাভার্ড ভ্যানের গতি রোধ করে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক ও চালকের সহকারী আগুন থেকে বাঁচতে লাফ দিতে গিয়ে আহত হন।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন বলেন, গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর কবি বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি কাভার্ড ভ্যানে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই গাড়িটি পুড়ে যায়।
কাভার্ড ভ্যানের চালক আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর নিজের কাভার্ড ভ্যানটি তিনি নিজেই চালান। গতকাল বরিশাল থেকে একটি কোম্পানির বিস্কুট নিয়ে রাত ১০টার দিকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। রাত ১১টায় মহাসড়কের বাটাজোর পৌঁছালে আকস্মিক বিশাল গাছের গুঁড়ি ফেলে পাঁচ থেকে সাতজন ব্যক্তি। তিনি ব্রেক করার সঙ্গে সঙ্গে দুজন এসে ভাঙচুর করে। আরও দুজন পেট্রল দিয়ে আগুন দেয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রাণ রক্ষায় দরজা খুলে বের হতে চাইলে দুজন এসে আমাকে নামতে বাধা দিয়ে বলে ‘‘তোরেসহ আগুনে পুড়িয়ে মারব”। যখন আগুন আমার কাছাকাছি এসে তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি ও সহকারী আহাদ হোসেন (২৩) জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে সামান্য আহত হই। সঙ্গে সঙ্গে দুই দুর্বৃত্ত এসে আমার শরীরে এক বোতল পেট্রল ঢেলে দেয় এবং আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার শরীরে আগুন দেওয়ার আগেই আমি দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করেছি।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করতে কাভার্ড ভ্যানে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সোনার বাংলা নামক স্থানে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, মহাসড়কে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।