পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের (৩০) বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের অফিসে হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ঠিকাদার গত সোমবার রাতে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।
অভিযোগ দেওয়া ওই ঠিকাদারের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৩)। তাঁর বাড়ি শহরতলির দ্বীপচর গ্রামে। তাঁর দাবি, টেন্ডার তুলে না নেওয়ায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হামলা চালিয়ে তাঁর অফিস তছনছ এবং তাঁকে মারধর করেছেন। তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী ঠিকাদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় দেওয়া অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, তিনি গত সোমবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) একটি টেন্ডার দাখিল করেন। সেদিনই টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ও খোলার তারিখ ছিল। তিনি টেন্ডারটি দাখিল করার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান ও তাঁর লোকজন টেন্ডার তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রাত আটটার দিকে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁর অফিসে ঢোকেন। তাঁরা অফিস তছনছ করেন। টেন্ডার তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকা যুবকেরা তাঁকে বেধড়ক মারপিট করেন। অফিসের ড্রয়ারে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে চলে যান।
অভিযোগটি কেন এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি, তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন দেলোয়ার হোসেন।
তবে ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কোনো ঠিকাদারের অফিসে যাইনি, হুমকিও দিইনি। এমন কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন না। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র হতে পারে। যিনি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার হতে পারব।’