বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ বলেছেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে অন্য কোনো দেশের চোখরাঙানি দেখার জন্য নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়, প্রভুত্ব বা আধিপত্য নয়।
আজ শনিবার বিকেলে জেলা জাসাসের উদ্যোগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভার পর নাটক ‘অনুসন্ধান’ মঞ্চস্থ হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা জাসাসের সভাপতি শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আহমদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল খান প্রমুখ।
এমরান সালেহ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাখ লাখ শহীদের রক্তে কেনা, কারও দয়ার দান নয়। বাংলাদেশের শাসনক্ষমতার পরিবর্তন জনগণের ইচ্ছায় হবে, অন্য কোনো দেশের ইচ্ছায় হবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সহযোগিতায় জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার কেড়ে নিয়ে প্রহসন সৃষ্টি করেছিল। জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মরণপণ সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর নির্মম দমন–নিপীড়ন চালিয়ে কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন ও ভারতের আধিপত্য বিস্তার করে দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করেছিল।
এমরান সালেহ বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটলেও প্রতিবেশী ভারত তা মেনে নিতে পারেনি। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এখন আবার ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পুনর্বাসনের জন্য অন্যায় চেষ্টা চালাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছাত্র–জনতার বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে সব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত নস্যাৎ করে রক্তে কেনা স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
১৯৭১ সালে ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে হালুয়াঘাটকে মুক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা।