পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র নোমান জামান ওরফে মিশকাতকে তাঁর পরিবার খুঁজছে
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্র নোমান জামান ওরফে মিশকাতকে তাঁর পরিবার খুঁজছে

পঞ্চগড়ে ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ নবম শ্রেণির ছাত্র

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নোমান জামান ওরফে মিশকাত (১৬) ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ। এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি ওই ছাত্রের বাবা আটোয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

নোমান জামান আটোয়ারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে। সম্প্রতি সে আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তাঁদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর শিকদার হাট এলাকায়।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নোমান জামান তাঁর মা ও বোনের সঙ্গে দিনাজপুরে থাকত। সম্প্রতি তাকে আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। এর পর থেকে সে বাবার সঙ্গে আটোয়ারী উপজেলা শহরে সরকারি কোয়ার্টারে থাকত। গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে নোমান আটোয়ারীর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত ছেলে বাসায় না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাবা মো. মনিরুজ্জামান। কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরদিন আটোয়ারী থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মা নুরুন নাহার বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ১৫ দিন ধরে ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে গেছি। কোথাও তার সন্ধান পাইনি। আমার ছেলেটাকে কেউ খুঁজে পেলে একটু জানানোর অনুরোধ করছি।’

নোমান জামানের বাবা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুই মাস ধরে ছেলেটা আমার সঙ্গেই ছিল। ২৭ তারিখ দুপুরে বাবা-ছেলে একসঙ্গে খেয়েছি। এরপর বিকেল থেকেই তাকে আর খুঁজে পাচ্ছি না। থানায় জিডি করেছি, অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। আমার ছেলেটাকে ফিরে পেতে সবার সহায়তা চাই।’

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, নিখোঁজ ওই ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। জিডির পর দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে র‍্যাব, ডিবিসহ সবাই সহায়তা করছে। একই সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিচ্ছেন।