পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে জেলা সদরের হিমাইতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন (৪০)। তিনি হিমাইতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে শুকুর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত পাঁচজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হিমাইতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের বিরোধ চলছে। দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই বাগ্বিতণ্ডা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে এলাকায় একটি ইসলামি জলসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবারের রাতের ঘটনার জের ধরেই আজ শনিবার সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আবুল হাসেমের সমর্থক জালাল উদ্দিনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে জালাল উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা একটার দিকে তিনি মারা যান।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, মুন্তাজ পক্ষ ও হাসেম পক্ষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর জেরেই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা মুন্তাজ আলী ও আবুল হাসেমের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে এই বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন। রাজনৈতিক কোনো বিরোধ হলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।