ফরিদপুরে পুলিশের মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন

পুলিশের করা মামলায় জামিন পাওয়া বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা। সোমবার দুপুরে ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
 ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় এ জামিনের আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন আলফাডাঙ্গা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আব্বাস মিয়া, সদস্যসচিব মো. নূরুজ্জামান খসরু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহীন মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক নেয়ামত পারভেজ ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আরব আলী।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী কাদের মোল্লা বলেন, গত ৩১ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি হওয়ার পর গত ৭ আগস্ট এই পাঁচ নেতা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৩১ জুলাই আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেছিলেন। মামলায় গত ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গায় বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ২৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ৩১ জুলাই ফরিদপুরে বিএনপির জনসমাবেশে যোগ দিতে ৩০ জুলাই রাতে আলফাডাঙ্গায় সরকারবিরোধী একটি মিছিল বের করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মিছিলকারী নেতা–কর্মীরা আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের সাতটি গুলি ছোড়ে। এ সময় ইটের আঘাতে এসআই রবিউল ইসলাম, কনস্টেবল নূর এলাহী, মিল্টন বিশ্বাস ও মহসিন আহত হন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, বিএনপির এক দফা আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে আলফাডাঙ্গায় ওই গায়েবি মামলা করা হয়েছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ৩০ জুলাই রাত সোয়া ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে কোনো ইটপাটকেল নিক্ষেপ বা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিদের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন তিনি।