সিলেট নগরের বিভিন্ন থানায় গিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা
সিলেট নগরের বিভিন্ন থানায় গিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা

সিলেট নগরে ছয়টি থানায় কার্যক্রম শুরু, পুলিশে সংস্কার দাবিতে আন্দোলনও অব্যাহত

সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানায় সেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আদালতে পুলিশের কার্যক্রম চলমান আছে বলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনও অব্যাহত আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরের বিমানবন্দর, জালালাবাদ, মোগলাবাজার, শাহপরান, কোতোয়ালি ও দক্ষিণ সুরমা থানায় কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা থানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। সেই সঙ্গে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিতে তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিলেটের বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা থানায় এসে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছন। সেই সঙ্গে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার থেকে পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন পুলিশ সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত ছিল। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট মহানগর এলাকার ছয়টি থানায় সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আদালতেও পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, স্বৈরশাসকের পতন হওয়ার পর থেকেই পুলিশ যে জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেটি তাঁরা বলে আসছেন। পুলিশকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগরের ছয়টি থানায় তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীরা গিয়ে পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস দিচ্ছেন। তাঁদের কার্যক্রম শুরু করার জন্য বলছেন। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। সিলেট মহানগর এলাকার ছয়টি থানায় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

খন্দকার আবদুল মুক্তাদির আরও বলেন, তাঁদের দল ক্ষমতায় গেলে পুলিশকে রাজনৈতিকবহির্ভূত একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। রাজনৈতিক দলাদলি থেকে দূরে রাখা হবে। জনগণের আস্থা বাড়ানোর জন্য পুলিশ যাতে কাজ করে, সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার পাশাপাশি জেলার অন্য থানাগুলোয়ও পুলিশ যাতে কার্যক্রম শুরু করে, এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের প্রসঙ্গে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা হিসেবে মনে করছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বিএনপির পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, দলের নামে কেউ কোনো চাঁদাবাজি কিংবা অবৈধ সুবিধা চাইলে তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।