চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আজ বিকেলে উপজেলা সদরের জলিল নগরে
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আজ বিকেলে উপজেলা সদরের জলিল নগরে

রাউজানে ১৬ বছর পর বিএনপির সমাবেশ

চট্টগ্রামের রাউজানে প্রায় ১৬ বছর পর সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের জলিল নগর চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে সর্বশেষ উপজেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।

সমাবেশের আগে দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন হাজারো মানুষ। সমাবেশে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও এ রকম ইতিহাস নেই, যাঁরা আমাদের মতো ১৬ বছর ধরে বাড়িতে আসতে পারেননি। মা-বাবার কবর জিয়ারতে গিয়ে খুন হয়েছেন। অথচ রাউজানে এত বছর ধরে তা–ই হয়েছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই এলাকাকে একটি ভয়ংকর উপজেলায় পরিণত করেছিল।’

গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়ে আমাদের আরেকবার স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিল। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের। আর যেন আমাদের পরাধীনতার রাজ্যে প্রবেশ করতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সব নেতা-কর্মীকে মানুষের মন জয় করার কাজ করতে হবে।’

রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাসেল খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সরোয়ার আলমগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুরুল হক, রাউজান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান, সহসভাপতি ইউসুফ তালুকদার, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, সোহেল চৌধুরী, আলী সুমন, নিজাম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের পিটুনিতে রাউজানে নিহত প্রবাসী বিএনপি নেতা মুহাম্মদ মুসা ও রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত আবদুল্লাহ আল হাসানের কবর জিয়ারত করতে যান গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপজেলায় বিএনপির সমাবেশ হয়েছে। এরপর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা এলাকায় অবস্থান করতে চাইতেন, তাঁদের বিভিন্ন মামলায় কারাগারে পাঠানো হতো।