রাস্তা বন্ধ করে নির্বাচনী সমাবেশ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ সদর আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সবুজ পাল গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ নোটিশ দেন। আগামী শুক্রবারের মধ্যে প্রার্থীকে সশরীর হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মাহবুব আলী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। তিনি হবিগঞ্জ-৪ আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি মো. মাহবুব আলী হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিন পরিদর্শনকালে মঙ্গলবার বিকেলে দেখতে পায়, চুনারুঘাট সদর উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় আপনি শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়ে নির্বাচনী সমাবেশ করছেন। এ সমাবেশকালে বাজারে পূবালী ব্যাংক মোড় থেকে মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত পুরো রাস্তা বন্ধ ছিল। এ প্রতিবন্ধকতায় চুনারুঘাট-আসামপাড়া হয়ে বাল্লা সীমান্ত স্থলবন্দর এবং চুনারুঘাট থেকে জগদীশপুর পর্যন্ত সড়কগুলোতে পুরো সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ কাজ রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর বিধি-৬ (ঘ)-এর লঙ্ঘন। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আগামী শুক্রবারের মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে আপনাকে সশরীর হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
কারণ দর্শানোর নোটিশের অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, উপসচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর পাঠানো হয়েছে।
মাহবুব আলীর উপস্থিতিতে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে মোট ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে সুমন (ঈগল প্রতীক)। সৈয়দ সায়েদুল হক ‘ব্যারিস্টার সুমন’ হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত। অপর ছয় প্রার্থী হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের আবু ছালেহ (মিনার), জাতীয় পার্টির আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুল মমিন (চেয়ার), বিএনএমের মো. মোখলেছুর রহমান (নোঙ্গর), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. রাশেদুল ইসলাম খোকন (ছড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেসের সৈয়দ মো. আল আমিন (ডাব)।