গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র কাজি নাদিমুজ্জামান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
কাজি নাদিমুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ২০ মে তারিখে গুচ্ছ ভর্তির প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষার একটি কেন্দ্র গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসবেন। তাঁদের ভোগান্তির কথা ভেবে এবং গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়রের পরামর্শে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
কাজি নাদিমুজ্জামান আরও বলেন, রোববার সকাল ৯টার পর থেকে আবার তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যতক্ষণ তাঁদের দাবি পূরণ করা না হবে, তত দিন তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরের সামনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কর্মসূচি শুরু করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন ও রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সদস্যরা ফটক ভেঙে উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের মুক্ত করেন। কর্মচারী সমিতির সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে গতকাল তালা ভাঙলেও ওই সময় সেখানে পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলছেন, তাঁদের চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চাকরি বা নিয়োগের ব্যাপারে তাদের কোনো হাত নেই। এ ছাড়া একসঙ্গে এত পদ সৃষ্টি হয় না। বিগত তিন নিয়োগে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ১৫৪ জনের মধ্য থেকে ১৮ জনকে চাকরি দিয়েছেন রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা।