হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও অবসপ্রাপ্ত মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেলকে আটক এবং তাঁর কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অস্ত্রটি সোহেলের কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই অস্ত্রের বৈধতা না পেলে পুলিশ এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করবে।
পুলিশের দাবি সেনাবাহিনী আটক হওয়া ওই ব্যক্তিকে রোববার রাতেই সেনা হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে সেনাবাহিনীর হবিগঞ্জে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ঘটনাটি মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে আর রাখেননি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে একটি জিপে করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পারকুল খোয়াই সেতু পার হচ্ছিলেন রানা মোহাম্মদ সোহেল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে শাহীন মিয়া নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে ওঠেন। এতে আটকা পড়ে জিপটি। এ সময় চালকের আসন থেকে নেমে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তর্কে জড়ান ওই সেনা কর্মকর্তা। একপর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে তিনি পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। তবে গুলি শাহীনের শরীরে লাগেনি। এরপর আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে চুনারুঘাট থানা–পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তি রানা মোহাম্মদ সোহেল নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তবে আটক হওয়ার সময় তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দেন।
এ বিষয়ে আজ সোমবার হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক খান বলেন, আটক ব্যক্তিকে রোববার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল ও ২০টি গুলি চুনারুঘাট থানা–পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ অস্ত্রটি লাইসেন্স করা কি না, যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ অস্ত্রের বৈধতা না পেলে এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলে জেলা কমান্ডিং কর্মকর্তা ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শুনেছেন ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে গেছে। যে কারণে আটক হওয়া ওই ব্যক্তি এখন তাঁদের কাছে নেই।