পাবনায় বন্ধুদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটির জের ধরে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিয়াম (১৮) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শহরের শান্তিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান শহরের পৈলানপুর পাওয়ার হাউজপাড়া মহল্লার ইব্রাহিম আলীর ছেলে। তিনি শহরের রাধানগর মজুমদার (আরএম) একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তাফিজুরের সঙ্গে তাঁর কয়েকজন বন্ধুর বেশ কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় শহরের রাধানগর রথঘর মহল্লায় সেই বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে লোকজন তাঁদের থামিয়ে দিলে মোস্তাফিজুর ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এর জের ধরেই ওই বন্ধুরা রাত ১০টার দিকে শান্তিনগর মহল্লায় সিয়ামকে আটক করেন। তাঁকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সিয়ামের বাবা ইব্রাহিম আলী জানান, তিনি ঘটনার কিছুই জানেন না। রাতে একজন মুঠোফোনে তাঁর ছেলেকে কোপানো হয়েছে বলে জানান। এরপর তিনি হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে মৃত অবস্থায় পান। ইব্রাহিম আলী কান্নাজড়িক কন্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেতো কোনো অন্যায় করছে বলে শুনিনি। তাইলে কেন এভাবে ছেলেডাক হত্যা করা হলো? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
এ প্রসঙ্গে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে নিহতে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বন্ধুদের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।