ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের সাভার গ্রাম থেকে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীর নাম রহিমা বেগম (৫৫)। পুলিশের ধারণা, ওই নারীর জামাতা তাঁকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন। তবে খুনের কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহিমা বেগমের মেয়ে শিউলি বেগমের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দা ইউনুস মোল্লার (৪২) বিয়ে হয়। গতকাল স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ইউনুস। রাতে তাঁকে বাড়ির বারান্দায় শুতে দেওয়া হয়। ভেতরে শুয়ে ছিলেন তাঁর শাশুড়ি রহিমা বেগম ও স্ত্রী শিউলি বেগম। রাত একটার দিকে রহিমা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সময় জামাতা ইউনুস একটি চাকু নিয়ে শাশুড়ির গলায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রহিমা বেগম।
স্থানীয় লোকজন জানান, শিউলি-ইউনুস দম্পতির কোনো সন্তান ছিল না। গত তিন বছর বিদেশে চাকরি করতেন শিউলি। দেশে আসার পর তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। এ ঘটনার পর জামাতা ইউনুস মোল্লা পালিয়ে গেছেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে নগরকান্দার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক জামাতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।