টিয়া, শালিক, ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক পাখি আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর হাটে
টিয়া, শালিক, ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক পাখি আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর হাটে

সৈয়দপুরে খাঁচা থেকে মুক্তি পেল অর্ধশতাধিক পাখি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে খাঁচা থেকে মুক্তি পেয়েছে টিয়া, শালিক, ময়নাসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক পাখি। আজ শনিবার সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর হাটে শিকারিদের খাঁচা থেকে এসব পাখি অবমুক্ত করে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থার সদস্যরা।

সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই হাটে দেশীয় জাতের বিভিন্ন পাখি কেনাবেচা হয়ে আসছিল। যেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সংস্থাটির সদস্যরা আজ হাটে গিয়ে দেশীয় প্রজাতির অর্ধশতাধিক পাখি শিকারিদের খাঁচা থেকে বের করে আকাশে অবমুক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে বন্য প্রাণী কেনাবেচা সম্পর্কে পাখি বিক্রেতাদের সচেতন করেন।

স্থানীয় সোনাখুলি গ্রামের বাসিন্দা পাখি বিক্রেতা রেজাউল বলেন, দেশীয় পাখি কেনাবেচা সম্পর্কে যে আইন আছে এবং আইনে যে শাস্তির বিধান আছে, তা তাঁরা জানতেন না। এখন জেনেছেন এবং ভবিষ্যতে এসব পাখি কেনাবেচা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।

পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন সেতুবন্ধন যুব উন্নয়ন সংস্থার সদস্য নওশাদ আনসারী, মাসুম বিল্লাহ, মো. আসাদ, রানা, মুন্না, রেজা প্রমুখ।

সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক কুরবান আলী বলেন, কয়েক বছর ধরে পাখি সংরক্ষণে সচেতনতামূলক কাজ করে আসছেন তাঁরা। আজ ঢেলাপীর হাট থেকে পাখি উদ্ধার করে ছেড়ে দিয়েছেন। পরে চান্দিয়ার ব্রিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন এবং গাছের চারা বিতরণ করেন।