কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে দুজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া তাঁদের ‘চেম্বার’ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রিফাত হিমেল ও থানা-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার মো. খোকনের ছেলে আবুল বাসার (সেতু) ও একই এলাকার তারেক মাহমুদ (তরু)। ভ্রাম্যমাণ আদালত আবুল বাসারকে (৩৬) ৫০ হাজার টাকা ও তারেক মাহমুদকে (৩৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈধ কাগজপত্রাদি ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর যাবৎ হলবাজার এলাকায় ‘ডক্টর ভ্যালি’ নামে চেম্বার খুলে এ কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্রাদি ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই দাঁতের বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন তারেক মাহমুদ। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দুজনকে জরিমানা করেন। এ ছাড়া তাঁদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল আরাফাত বলেন, বৈধ কাগজপত্রাদি ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের চিকিৎসার দেওয়ার অপরাধে আবুল বাসারকে ৫০ হাজার টাকা এবং তারেক মাহমুদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।